খবর৭১ঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্রতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা এখন দেশকে ক্ষুধা মুক্ত করেছি। আগামী নির্বাচনের আগে দারিদ্রতা ১০ শতাংশে নেমে আসবে। ক্রমান্বয়ে দেশ দারিদ্রতামুক্ত হবে।
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ২৬১ জনকে আর্থিক অনুদান ও এডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ প্রদান করেন তথ্যমন্ত্রী।
দারিদ্রতা এখনও আছে স্বীকার করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করা হয় তখন বাংলাদেশের দারিদ্রতা ছিল ৪১ শতাংশ। বর্তমানে সেটি কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী নির্বাচনের আগে দারিদ্রতা ১০ শতাংশে নেমে আসবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি আমরা। দারিদ্রতা এখনও আছে তবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ রচনা করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য রফতানিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। দেশের মানুষকে খাইয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। সেজন্য আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ততা অর্জন করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রকৃতপক্ষে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করা অনেকাংশে কমে গেছে। সন্তান সন্ততিরা যেসব বাবা-মা’র খবরা খবর রাখেন না এবং নানাবিদ কারণে কিছুসংখ্যক ভিক্ষাবৃত্তি আছে। দেশে যে পরিমাণ ভিক্ষাবৃত্তি আছে তারা এখন আর মানুষের দরজায় গিয়ে বাসি ভাত খুঁজেন না। বাসি ভাত খোঁজার ডাক এখন আর বাংলাদেশের কোথাও শোনা যায়না। কারণ বাসি ভাতের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি।
আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরও বলেন, কদিন আগে বন্যায় রাঙ্গুনিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৮০ টন জিআরের চাল বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিস্ট দফতরের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণসহ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। শিলক খালের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচবছর ধরে যারা সাধারন মানুষের খোঁজ খবর না রেখে শুধু ভোটের আগে এসে রাজনীতি করেন তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, রাঙ্গুনিয়া পৌর সভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, কোদালা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি প্রমূখ।