খবর৭১ঃ
মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় দুলা মিয়া (৪০) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে তার চাচা র্যাব সদস্য সাদেক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে নিয়ে ঢাকার জুরাইন কবরস্থান থেকে অপহৃত দুলা মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুলা মিয়া উপজেলা শানখলা ইউনিয়নের পাট্টাশরীফ গ্রামের মকসুদ আলীর পুত্র। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম র্যাব সদস্য সাদেক মিয়াকে গ্রেফতার করে।এর আগে গত সোমবার চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজমুল হক, ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ ও এসআই এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার জুরাইন কবরস্থান থেকে দুলা মিয়ার লাশ উদ্ধার করতে ঢাকা যান। গত শনিবার চুনারুঘাট থানা পুলিশ দুলা মিয়া অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত মামুন মিয়া নামে এক যুবককে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে গ্রেফতার করে এবং অপহরণের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। পরদিন হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামুন। মামুন আদালতকে জানায়- র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তাদের কয়েকজনকে ভাড়া করে দুলা মিয়াকে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, পাঁচ দিন আগে ঢাকার হাজারীবাগ থানা পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুলা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। হাজারীবাগ থানা পুলিশ দুলা মিয়ার লাশ তাদের হেফাজতে রেখে অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করেন। গত ১৭ জুন টমটম যোগে উপজেলার শাকির মোহাম্মদ বাজার থেকে বাড়ি আসার সময় তালতলা বাজারে মাইক্রোবাস দিয়ে তার পথরোধ করা হয়। মাইক্রোবাসে থাকা ৪-৫ জন আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।এরপর তার কোনো খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা ২০ জুন পাট্টাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, আব্দুর রহিমের পুত্র র্যাব সদস্য সাদেক মিয়া তার ভাই রফিক মিয়া, পাশের বাড়ি আব্দুল মতিন, রোমান মিয়া ও সাকিল মিয়ার সাথে নিহত দুলা মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে এঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে আগুনে পোড়া টমটম চালক আলমগীর মিয়া (২৬) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বনের গভীর থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। আলমগীর উপজেলার বনগাও গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সাতছড়ি পল্লীর বাসিন্দা সমিরন নামে এক ব্যক্তি জঙ্গলের ভিতর আগুনে পোড়া একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত আলী আশরাফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আলমগীর মিয়া গত শনিবার বাড়ী থেকে টমটম নিয়ে বাহির হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি নাজমুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অন্য কোন স্থান থেকে হত্যার পর এখানে হয়ত লাশটি রেখে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।