খবর৭১ঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ও বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। যে বাড়িতে আজ ছিলো বৌভাত সেই বাড়িতেই এখন শুধুই কান্নার রোল। বিয়ের বরযাত্রীর ১১ জনের করুণ মৃত্যতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। আর দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে ৬ সদস্যর তদন্ত কমিটি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজন হোসেন উল্লাপাড়ার চর ঘাটিনা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর শেখের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে বিয়ে করে মাইক্রোবাসে বাড়িতে ফিরছিলেন। সুমাইয়ার বাড়িতে তখনও চলছিল বিয়ের আমেজ। বিয়েতে আসা অতিথিরা আনন্দ করছিলেন। মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে রেল ক্রসিংয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস মাইক্রোটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। এ সময় সুমাইয়ার সঙ্গে যাওয়া ভাবি মমতা খাতুন, ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম ও কনের ছোট বোন বুলবুলিসহ উভয় পক্ষের ৯ জনের মর্মান্তিক মৃতু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরো ২ জন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সুমাইয়ার লাশ তাদের বাড়ি পৌঁছে। এ সময় পরিবারের স্বজনদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সুমাইয়ার মা মৃত মেয়ের পাশে বসে বারবার একই কথা বলছিলেন, ‘কী পাপ করছি আমরা, মেয়েটার কপালে আমার এই আছিল, আমার আর বাঁইচা থাইকা কি হইব!’
মঙ্গলবার ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেলা ১১টায় চর ঘাটিনা কবরস্থানে জানাজা শেষে সুমাইয়া ও তার স্বজনদের মরদেহ দাফন করা হয়।