খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণের সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই ভেঙে পড়েছে ড্রেনের কিছু অংশ। উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের লক্ষণপুর পশ্চিম পাড়ায় ওই ড্রেন নির্মাণ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় এমনটি ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) আওতায় গত ২০১৮-২০১৯ইং অর্থবছরে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষণপুর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের একটি ড্রেন নির্মাণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯২ ফুট দীর্ঘ এ ড্রেনটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে গত জুন মাসে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। এর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিত চন্দ্র রায়। এলাকাবাসি জানান, উল্লিখিত স্থানে আগেও একটি সরু ড্রেন ছিল। সেটি ভেঙ্গে একই স্থানে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ড্রেন নির্মাণে পুর্বের ভেঙ্গে দেয়া ড্রেনের পুরাতন ইট ব্যবহার করা হলেও নির্মাণ কাজে পরিমাণ মতো সিমেন্ট ও বালুসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। ফলে নির্মাণের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ড্রেনটি প্রায় ৩০ ফুট ভেঙ্গে হেলে পড়েছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ড্রেনের পাঁচ ইঞ্চি গাঁথুনির এক পাশের ওই অংশ ভেঙ্গে গেছে। এ সময় এলাকার মো. আব্দুস সামাদ,সাজ্জাদ অভিযোগ করে বলেন পুর্বের ড্রেনের ইটগুলো দিয়ে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও পুরাতন ইটগুলো ভালভাবে পরিস্কার করা হয়নি। গাথুনিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে সিমেন্ট ও বালু ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। তারা বলেন সে সময় আমরা এলাকাবাসি নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ম মেনে ড্রেনের নির্মাণ কাজ করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা আমাদের কথায় কোন গুরুত্বপূর্ণ দেয়নি। মূলতঃ তড়িঘড়ি এবং সঠিক ভাবে কাজ না করার এমনটি হয়েছে। তারা বলেন, সরকারি বরাদ্দে কাজ এমন নিম্নমানের হয় তা আগে কখনও দেখিনি।
এব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও পিআইসির সভাপতি শ্রী অজিত চন্দ্র রায়ের সাথে কথা হলে তিনি নির্মিত ড্রেনের কিছু অংশ ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করলেও নিম্নমানের কাজ করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন ড্রেন নির্মাণের সময় বৃষ্টি হওয়ায় আর ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় ড্রেনে জমাকৃত পানির চাপে কিছুটা অংশ ভেঙ্গে যায়। এজন্য ভাঙা অংশ মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি। একই কথা বলেন বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শ্রী প্রণোবেশ চন্দ্র বাগচী।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।