খবর৭১ঃ
মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি হবিগঞ্জ অংশে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি আরও বাড়তে পারে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপছে ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট’এ পানি প্রবেশ করছে। প্লান্টের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় অনেক যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন ধরণের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি পাওয়ার প্লান্ট কর্মকর্তাদের। যদি বন্যার কারণে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের (বিপিডিবি) ইঞ্জিনিয়ার সজল বলেন- ‘পাওয়ার প্লান্টের ভেতরে একটু একটু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পানিতে নিমচ্ছিত হচ্ছে। তবে মূল উৎপাদন কেন্দ্রে পানি উঠার সম্ভাবনা নেই। কারণ মূল উৎপাদন কেন্দ্রটি পাওয়ার প্লান্টের ভূমি থেকে অনেক উপরে।’ তিনি বলেন-‘মূল উৎপাদক কেন্দ্রটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সমতল। সুতরাং মহাসড়ক ডুবলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে। অন্যতায় সাময়িক সমস্যা হবে, কিন্তু উৎপাদন অব্যহত থাকবে। এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ‘কুশিয়ারা ডাইকই’য়ে ভাঙন ঠেকাতে ও পানি প্রবেশ বন্ধ করতে বালির বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৪৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ‘কুশিয়ারা ডাইক’ মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে সেখানে বস্তা ফেলা কাজ চলছে।