খবর৭১ঃ দেশের সাতটি জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ ও পাবনায় চারজন করে, চুয়াডাঙায় তিন, সুনামগঞ্জে দুই এবং নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও শরীয়তপুরে একজন করে মারা গেছেন।
বজ্রপাতে ফুলপুরের পয়ারি গ্রামের জামাল উদ্দিন (৪২), বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের সোহাগ (১৭), তারাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলিরকান্দা গ্রামের চাঁন মিয়া (৫৮) এবং ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বড়বিলার জেলে চৈত বর্মণ (২২) এর মৃত্যু হয়েছে।
বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে বেড়ায় চাকলা ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পাচুড়িয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), তার দুই ছেলে ফরিদ (২২) ও শরীফ (১৮) এবং একই গ্রামের রহমত আলী (৫৫)। নিহতরা সবাই ঘটনার সময় পাট ধোঁয়ায় কাজ করছিলেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকালে খোরদ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মেহেরপুর জেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে মোহাম্মদ হুদা (৩৫), মকবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩০) ও বরকত আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩০)।
তাহিরপুর উপজেলায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শনিবার সকালে বজ্রপাতে বাবা ও ১০ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের বাবা হারিদুল ইসলাম (৪৫) এবং তার ছেলে তারা মিয়া (১০)।
কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়ায় বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে বজ্রপাতে আব্দুল হাসিম (৬০) নামে এক কৃষক ও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় সুমআইয়া আক্তার (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।