খবর৭১ঃ
মুখের দুর্গন্ধের কারণে মানুষ জনসম্মুখে যেতে লজ্জাবোধ করে। মুখের এই দুর্গন্ধ কেন হয়, তা নিয়ে বিজ্ঞানের গবেষণা বহুকাল যাবৎ চলে আসছে। সে সব গবেষণা থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করা গেছে। দুর্গন্ধ বা দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস একটি বিরক্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা।
প্রায়শই আক্রান্ত ব্যক্তি তার এমন অবস্থা সম্পর্কে খুব একটা অবগত থাকেন না। তবে সমস্যাটি আশপাশে অবস্থানকারীদের বিরক্তি ঘটায়। কেননা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় যখন দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু বেরিয়ে আসে তখন গোটা পরিবেশকে দুর্গন্ধময় করে দিতে বাধ্য।
নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়
১. বাজারে অনেক ধরণের মাউথ ওয়াশ পাওয়া যায়। তবে ক্ষেত্রে অ্যালকোহলযু্ক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখ গহবরকে শুস্ক করে তুলে। যেহেতু এই পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বেশী জন্মায়। অতএব ঐ সময় মাউথ ওয়াশ ব্যবহার না করে অল্প গরম লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে কুলিকুচি করা ভালো। তাছাড়াও এটার পরিবর্তে অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড-এর মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু হাইড্রোজেন পারঅক্রাইড মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।
২. সজীব নিঃশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় যোগ করা যেতে পারে কয়েক ফোঁটা চা পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল, যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে অনেক দক্ষতার সাথে।
৩. যে সব মানুষ মুখের দূর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন তাদের উচিত্ প্রত্যেকবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। তাহলে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্য কনা বের হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না।
৪. বেশির ভাগ মানুষ শুধুমাত্র তাদের দাঁত পরিষ্কার করেন কিন্তু জিহবা পরিষ্কার করেন না। কিন্তু সাথে সাথে জিহবা পরিষ্কার করাটাও অনেক জরুরী। বিশেষ টাং ষ্ক্র্যাপার বা টাং ক্লিনার-এর সাহায্যে এটা করা যায়। জিহবাতেও অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা দূর্গন্ধের
জন্য দায়ী।
৫. যাদের মুখগহবর বেশি শুষ্ক তারা মুখের দূর্গন্ধের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই তাদের প্রচুর পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বার বার পানি খেতে হবে মুখের লালা নিঃসরণ বাড়াতে চিনি বিহিন গাম অথবা লজেন্স বা সুগারলেস চুইংগাম খেতে হবে।
৬. ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলও মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। তাই এসব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭. নিকোটিন হচ্ছে মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত এবং জিহবাতে এই নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখ গহবরকে অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। তাছাড়া পান সুপারি জর্দ্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে ।