খবর৭১ঃ
উজানে ভারী বর্ষণের কারণে দেশের নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ২৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত দশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শনিবার (১৩ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়ে বলছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সকাল ৯টায় সর্বশেষ তথ্য দিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য দিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং সংলগ্ন ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের উওরাঞ্চল, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন ভারতের বিহার এবং নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী সারিয়াকান্দি এবং কাজিপুর পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী, সাঙ্গু, ধরলাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আরিফুজ্জামান জানান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণাধীন ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৭৯টিতে এবং কমেছে ১১টি পয়েন্টে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ২৩টি পয়েন্টে।
এরই মধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।