খবর:৭১
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে হাসপাতাল, স্কুল, বাজার, সড়ক পানিতে প্লাবিত সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সুনামগঞ্জের ৮ উপজেলায় ৪ দিনের অব্যাহত ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রাস্তাঘাট, জনপদ, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো। ঢল ও বর্ষর্ণে জেলার ৮ উপজেলার অন্তত ১৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসস প্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আরো শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। এভাবে বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে জেলা অধিকাংশ উপজেলার প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে বন্যায় কবিলত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে জেলার সদর উপজেলায় ২২টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৩টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ৫৯টি, তাহিরপুর উপজেলায় ১৯টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৭টি ,দোয়াবাজার উপজেলায় ১৮ টি, ছাতক উপজেলায় ১০টি এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে আরো বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেজেল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬টি উপজেলার অন্তত ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯টি, বিশ্বমম্ভরপুর উপজেলায় ১৭টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০টি এবং তাহিরপুর উপজেলায় ৮টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এই সব কয়টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও অনেক বিদ্যা প্রাঙ্গন ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে আসতে পারতেছেন শিক্ষার্থীরা বলে জানান তিনি। পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা রিডিং অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও ঢল অব্যাহত থাকায় পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক।