প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রপ্তানি এবং প্রবাস আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপি’র পাঁচ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এমন পরিবেশে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে। সোনার বাংলায় ’দারিদ্র্য’ হবে সুদূর অতীতের কোন ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশ শতাংশে নিয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদে তা ধরে রাখা।’
সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি যে, পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার চিন্তা প্রসূত ১০টি বিশেষ উদ্যোগও বাস্তবায়ন করছি, যা শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগ নামে পরিচিত। এগুলো হচ্ছে, আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।’
জাতিসংঘের বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ও সম্ভাবনা-২০১৯ (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন এন্ড প্রসপেক্টাস-২০১৯) শীর্ষক প্রতিবেদনে শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং এশিয়া অঞ্চলে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান