খবর৭১ঃ
রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বানিয়াচংয়ে দুর্যোগ সহনশীল ঘর পাচ্ছে বানিয়াচংয়ের ১১টি গৃহহীন পরিবার। কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় গরিব অসহায় মানুষ, যাদের জায়গা আছে কিন্তু ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নাই কেবল তাদের জন্যই উন্নতমানের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (৯জুলাই)বিকেলে কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় নির্মিত বানিয়াচং ২নং ইউনিয়নের মোহরের পাড়ার মৃত তুরাব আলীর পুত্র সোহাগ মিয়াকে দেয়া প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘দুর্যোগ সহনশীল ঘর নির্মাণ’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দেখতে আসেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক।এসময় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে সেই অর্থে গৃহহীন মানুষের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। গরিব অসহায় মানুষ, যাদের জায়গা আছে কিন্তু ঘর নির্মাণের সামর্থ্য নাই কেবল তাদের জন্যই উন্নতমানের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ আরো জানান, কারও হয়তো এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব। এছাড়া যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য আছে কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের উপরে, নদী ভাঙ্গনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের জন্য এ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।বানিয়াচং উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, প্রায় ৫০০বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগসহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধর হয়েছে দুই লাখ ৫৮হাজার টাকা।এসময় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ কৃষকদের কাছ থেকে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধান ক্রয়ের চাহিদা পূরণে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শতভাগ ধান ক্রয় করতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারকে নির্দেশনা প্রদান করেন । পাশাপাশি আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় কোনো প্রার্থী বা প্রভাবশালী ব্যক্তি যাতে এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সেই জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেন।পরে তিনি বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের রঘু চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত ৩নং ভূমি পরিদর্শন করতে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার,বানিয়াচং থানার ওসি রাশেদ মোবারক,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল প্রমুখ।