খবর৭১ঃ
রিকশাচালকদের নগর ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে রিকশাচালকদের কোনো বিষয়ে কথা থাকলে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে নগরীতে সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান সাঈদ খোকন।
কর্মশালায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, তাদের যদি কোনো কথা থাকে, দাবি থাকে, আমরা সেগুলো শুনবো। আমি তাদেরকে নগর ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধানের পথ বের করবো।
তবে যে দুইটি রুটের তিনটি সড়কে রিকশাচলাচল বন্ধ করা হয়েছে তা বহাল থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র। তিনি বলেন, যে সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করা হয়েছে সেখানে যাত্রী বা নাগরিকদের তেমন একটা ভোগান্তির চিত্র আমরা দেখতে পাইনি।
নগরবাসীর চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গণপরিবহন রয়েছে। এছাড়াও দ্রুতই আমরা টিকিট সিস্টেম ফ্রাঞ্চাইজির বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতো যাচ্ছি। আর পথচারীদের হাঁটার সুবিধার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করছি। তাই এসব রুটে ফের রিকশা চলবে তেমনটা আপাতত আমরা মনে করছি না। তবুও সাতদিন পার হলে আমাদের যে কমিটি আছে (ঢাকা ট্রাফিক কন্ট্রোল অথরিটি-ডিটিসিএ), আমরা পুনরায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
গত রোববার (০৭ জুলাই) থেকে রাজধানীর দুইটি রুটের তিনটি সড়কে নিষিদ্ধ করা হয় রিকশাচলাচল। এর প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয়দিনের মতো রামপুরা-সায়েদাবাদ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন রিকশাচালকরা।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং বিশ্ব ব্যাংকের রিজিওনাল ডিরেক্টর জন রুম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় বাস রুট রেশনালাইজেশন বিষয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
রাজধানীর কয়েকটি সড়কে রিকশাচলাচল বন্ধ করার ঘোষণায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন রিকশাচালকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। গন্তব্যে যেতে বাসে চড়ে দীর্ঘসময় বসে থাকার পর অনেকে হেঁটেই রওয়ানা হয়েছেন।