কলাপাড়ায় ১১ বছরের শিশু ধর্ষণ ঘটনার ১১ দিনেও আসামি ধরা পড়েনি

0
808

রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
১১ বছরের শিশুকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীনকে পুলিশ আজও গ্রেফতার করতে পারেনি। ২৭ জুন বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটি তেগাছিয়া বাজার থেকে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি রমজানপুরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে পরে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব হোসেন জানান, আসামিকে ধরতে তারা এলাকা ছাড়াও পাশের উপজেলায় পর্যন্ত অভিযান করেছেন। বর্তমানে দরিদ্র এ পরিবারে সকল ধরনের সহায়তা দেয়া প্রয়োজন বলে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিকদার জানিয়েছেন। অপরদিকে পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামী সিদ্দিককে মারধর করে বেধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি শাহআলম মাঝিসহ শাহীন, শাকিল ও রশিদকে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আসামিরা পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে রবিবার জামিনের আবেদন করলে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৫ এপ্রিল রাতে ওই গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ইতোপুর্বে মহিপুর পুলিশ এ মামলায় দুই আসামি রবিউল ও মামুনকে গ্রেফতার করে।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিল রাতে স্ত্রীকে নিয়ে খালা হাসিনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় সিদ্দিক হাওলাদার। খাওয়া-দাওয়া শেষে কথা বলছিলেন। এসময় আসামিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে সিদ্দিক হাওলাদারকে মারধর করে বেধে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় পাশ্বতি মাছের ঘেরে নিয়ে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় পাশের এলাকার মেম্বার আনোয়ার ফকিরের বাড়িতে রেখে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here