ক্রিকেট ইতিহাসে “সাকিব” এক ইতিহাস

0
883
ক্রিকেট ইতিহাসে

খবর৭১ঃ

অলরাউন্ডারদের রাজত্বে সেই কবেই সিংহাসনে অসীন হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শুরুটা এক দিনের ক্রিকেট দিয়ে হলেও পরবর্তীতে টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে তিন বিভাগেই ছিলেন সেরাদের সেরা সাকিব। এই যে ক্রিকেটের সব বিভাগেই সাকিবের দাপট সেই যাত্রাটা শুরু হয়েছিল ওয়ানডে দিয়েই। বলে রাখা ভালো নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি দাপটও দেখিয়েছেন এই সংস্করণে। মাঝখানে অবশ্য বেশ কয়েকবার তাকে সেরার আসন হারাতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে সাকিব আল হাসান, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ব্যাট হাতে বোলারদের এবং বল হাতে ব্যাটসম্যানদের শাসন করাই যার কাজ তিনি সেরাদের আসনে না এলে চলে কি করে?

বিশ্বকাপ শুরুর পূর্বেই রশিদ খানের কাছে ওয়ানডের হারানো মুকুট উদ্ধার করে অলরাউন্ডারদের রাজা হয়েই গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ মাতাতে। বিশ্বকাপে গিয়ে সাকিব যা দেখালেন তা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয় বরং ক্রিকেট বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নিজের খেলা দিয়ে শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো বিশ্বের শত সহস্র ক্রিকেট ভক্তের মন জয় করেছেন সাকিব।

ক্রিকেট ইতিহাসে "সাকিব" এক ইতিহাস

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম থেকেই দুর্দান্ত খেলেছেন সাকিব, সেটি ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে। যে তিনটি ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছে সাকিব, বাংলাদেশ জয় পেয়েছে শুধুমাত্র ওই তিনটি ম্যাচেই। মাত্র আট ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করে সবচেয়ে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় প্রথম থেকেই সেরা পাঁচের মধ্যে আছেন তিনি। বল হাতেও কম যান না, পেয়েছেন ১১ উইকেট। ব্যাট ও বলে অনন্য নৈপুণ্য দেখিয়ে ইতিমধ্যে আসরের টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব পাওয়ার দাবি জানিয়ে রেখেছেন তিনি।
টুর্নামেন্ট সেরা যে সাকিব ই হচ্ছেন সেই বার্তাও দিয়ে রেখেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো এবং খোদ আইসিসি নিজেও। তবে তিনি প্রত্যেক ম্যাচে দুর্দান্ত খেললেও দলের অন্যান্যরা নিজেদের নামের ওপর সুবিচার করতে না পারায় গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। তবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লেও সুখবর অব্যাহত রয়েছে সাকিব আল হাসানের।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য শুধু অলরাউন্ডার রাঙ্কিংয়ে নিজের প্রথম স্থান ধরেই রাখেননি বরং প্রতিযোগিতায় থাকা অন্য খেলোয়াড়দের থেকে নিজেকে আরো যোজন যোজন দূরে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেট ইতিহাসে "সাকিব" এক ইতিহাস

বিশ্বকাপের আগে ৩৫৯ রেটিং নিয়ে শীর্ষে ছিলেন সাকিব। রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্বকাপের মাঝপথে হালনাগাদকৃত রাঙ্কিংয়ে সাকিবের রেটিং বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৬। এতদিন দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। তবে বিশ্বকাপে তার ম্লান পারফরম্যান্স অলরাউন্ডারদের রাঙ্কিংয়ে ঠেলে দিয়েছে পঞ্চম স্থানে (রেটিং পয়েন্ট ২৮৮)।

তৃতীয় স্থানে বহাল রয়েছেন রশিদের স্বদেশী মোহাম্মদ নবী (পয়েন্ট ৩১০) । ২৯৯ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। তবে বড় লাফ দিয়ে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস এখন দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার। যদিও সাকিবের সাথে স্টোকসের পার্থক্যটাও বেশ সুস্পষ্ট! স্টোকসের রেটিং সাকিবের চেয়ে ৯০ ব্যবধানে পিছিয়ে। অর্থাৎ, ইংলিশ ক্রিকেটারের রেটিং পয়েন্ট ৩১৬।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here