দোজখে পোড়ার ভয় দেখিয়ে মাওলানার ধর্ষণ

0
1117

খবর৭১ঃ গত এক বছরে দুই মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণসহ ছয় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের কথা স্বীকার করেছেন মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী। শুধু তাই নয়, নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক তার ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছেন দোজখের আগুনে পোড়ানোর ভয় দেখিয়ে। পুলিশের কাছে তিনি এই কথা স্বীকারও করেছেন।

গ্রেফতারের পর কেন্দুয়া পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক এসব কথা স্বীকার করেন বলে জানান কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

এসব ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষণের শিকার দুই মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবক থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন। ওসি বলেন, শুক্রবার সকালে নিজ মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের ‘মা হাওয়া (আ:) কওমি মহিলা মাদ্রাসা’র শিক্ষক মাওলা আবুল খায়ের বেলালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মাওলানা আবুল খায়ের বেলালীকে শনিবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহজাহান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাওলানা বেলালীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তিনি তার নিজ ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনা সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরে একটি স্ট্যাটাস দেন।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী একজন দাওরায়ে হাদিস, (সিলেট বালুরচর কওমি মাদ্রাসা হতে) মাওলানা, একজন বক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারে জুমআর নামাজের খতিব। মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী। শুক্রবার তার বয়ান শুনার জন্য আধা ঘণ্টা আগে মুসল্লিগণ এসে অপেক্ষা করেন মসজিদে। কেন্দুয়ার আঠারবাড়ি এলাকায় কওমি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক (মুহতামিম)। যে মাদ্রাসায় রয়েছে প্রায় ৩৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী। যাদের ১৫ জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক। সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমত একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পরে তার গা-হাত-পা টিপে দেবার জন্য।’

পুলিশ সুপার আরো লেখেন, ‘একপর্যায়ে মাওলানা সেই অবুঝ শিশুদের উপর ঝাঁপিয়ে পরেন এবং শেষে আবার কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য, বললে কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলেন না। কিন্তু এক সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়, বলে দেয় তার বড় বোনসহ বাড়ির সবাইকে সেই যন্ত্রণার মুহূর্তগুলোর কথা। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররূপী ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আরো একজন শিশু শ্রেণির ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ে। দুইটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে তার নামে।’

‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাই, গত একবছরে আরো মোট ৬ জন ছাত্রীর সঙ্গে তিনি অনুরূপ কুকর্ম করেছেন। যাদের সবারই বয়স ৮ থেকে ১১ এর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করি সঙ্গে সেই কলিংবেলটিও আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here