খবর৭১ঃ
হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ সংলগ্ন গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত আতিক হাসানকে ভর্তি করা হয়েছে।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ছাত্রলীগের সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধসহ চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে নবীন-বরণ অনুষ্ঠান চলাকালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তাজাম্মুল হক রিপন পক্ষ ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারান সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজ পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে উভয় গ্রুপের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় আধঘন্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সড়কের ৩ দিকে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ী আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হয়। আহত অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে কালেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজ বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে তাজাম্মুল হক রিপন কলেজে অনুপস্থিত। বর্তমানে তার কোন ছাত্রত্ব নেই। তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দাবী করে কলেজে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃংখলার সৃষ্টি করেছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তাজাম্মুল হক রিপন এ ঘটনার জন্য বহিরাগতদের দায়ী করেছেন। ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। মূলত ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তাারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।