খবর৭১ঃ তিস্তার পানি না দেয়ায় বাংলাদেশ ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সামনে পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর ইলিশ উৎপাদন হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা বিবির এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
পদ্মার ইলিশ না পাওয়ায় বিধানসভায় আক্ষেপের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
মমতা বলেন, বাঙালি মাছে-ভাতে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ মাছ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আমাদের বন্ধু দেশ। কিন্তু জল নেই তো কোথা থেকে দেব?
ইলিশের প্রসঙ্গ তুলে মমতা আরও বলেন, আমরা ইলিশ মাছ নিয়ে ডায়মন্ডহারবারে রিসার্চ সেন্টার করেছি। আমাদের রাজ্যে এখন ইলিশ মাছের অভাব নেই। আগামী দিনে রিসার্চ শেষ হলে গোটা দেশের ইলিশ আমরাই সরবরাহ করতে পারবো। আগামী দুই বছরের মধ্যে বাইরে থেকে আর মাছ আমদানি করতে হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারত থেকে তিস্তার পানির দাবি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রবল বিরোধিতার কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সাথে এই পানি বন্টন চুক্তি এখনও সেরে উঠতে পারেনি। রাজ্যের দাবি বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো তিস্তায় পর্যাপ্ত পরিমান পানি নেই। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’এর ঢাকা সফরেও তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে ওই সফর বাতিল করেন মমতা। তার যুক্তি ছিল তিস্তার পানি দিলে উত্তরবঙ্গের মানুষ শুকিয়ে মারা যাবে। তিস্তার বদলে বাংলাদেশকে তোর্সা, মানসই, সংকোশ ও ধানশই নদীর পানি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। যদিও রাজ্যের ওই প্রস্তাবে রাজি নয় বাংলাদেশ।