বাসার সামনে গুলি,নিরাপত্তা চেয়ে কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন!

0
549

রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসানের বাসভবনের সামনে গুলি

বর্ষনের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার সহ নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব
মিলনায়তনে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের কাছে নিজের জীবনের নিরাপত্তা
দাবি করেন এস এম রাকিবুল আহসান।
লিখিত বক্তব্যে তিঁনি বলেন, আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আজ
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাঁর বাসার সামনে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে
প্রায় ১৫টি মোটরসাইকেলে করে অন্তত: অর্ধশত যুবক অবস্থান নেয় এবং
গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই রাতেই কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মো. মনিবুর রহমান, থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র বিপুল

চন্দ্র হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত
কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিঁনি এ ঘটনায় থানায় ০২জুলাই ৬৬ নম্বর জিডি
করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কলাপাড়া উপজেলার দুটি পৌরসভার মেয়র, নয় ইউনিয়নের ইউপি
চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্যরা জানান, তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছেন। প্রকাশ্যে হোন্ডা মহড়া দিয়ে একটি বাহিনী একের পর এক সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড করলেও পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে
থেকে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিন শেষে
দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান থানায় আরও একটি জিডি করেন। ওই
জিডিতে তিনি বলেন, ’একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনের পর জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে দলের মধ্যে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,
টোকাইদের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে। এসকল অনুপ্রবেশকারীদের কারনে দলের মধ্যে
ঐক্য ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়া সহ আইন শৃঙ্খলার আরও অবনতি হতে পারে। ’
কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার
সামনে সৃষ্ট ঘটনার অনুসন্ধান চলছে।
প্রসংগত; একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কলাপাড়ায় ক্ষমতাসীন দলের
অভ্যন্তরীন কোন্দল প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
সহ দলের একাধিক সিনিয়র নেতা সহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসীদের
হাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা, চাঁদাবাজি শহর থেকে
নদী-সমুদ্র বক্ষে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, যেন দেখার কেউ নেই। এমনকি ইঞ্জিন
চালিত ছোট নৌকার জেলেদেরও এখন নদী-সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে হলে মোটা অংকের
চাঁদা দিতে হচ্ছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here