বাল্যবিয়ে করতে এসে বর শ্রীঘরে

0
608
বাল্যবিয়ে করতে এসে বর শ্রীঘরে
বর মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগ

খবর ৭১ঃ

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার এ্যাসোসিয়েশনের (সুভা) সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করল উপজেলা প্রশাসন। ফলে সামাজিক ব্যাধি বাল্য বিয়ে থেকে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী রক্ষা পেলেও বিয়ে করতে আসার অভিযোগে বরের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ওই দন্ডাদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত বর মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগকে (২২)। শনিবার সকালে নীলফামারী কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী মুন্সিপাড়ার মো. ফজলুল হক ওরফে ইমদাদুল এর ছেলে নির্মান শ্রমিক মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগের সাথে (২২) একই এলাকার মোজাহারুল ইসলামের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী মোছা. মনিরা আক্তারের (১৬) বিয়ে দিনক্ষণ ঠিক হয় বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগ প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও নাবালিকা মনিরা আক্তার। গতকাল শুক্রবার ছিল ওই বিয়ের দিনক্ষণ। এ বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কনের বাড়িতে চলে অতিথিদের আপ্যায়ন। সন্ধ্যার পর বরযাত্রী চলে আসে কনের বাড়িতে। তাদেরও যথারীতি আপ্যায়নও করা হয়। খাওয়া দাওয়া চলার মাঝে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতি চলে। ঠিক সেই মুর্হূতে সুভার সদস্যদের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবর পানয় উপজেলা প্রশাসন। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বিয়ের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। তা্দের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনেকে রেখে সটকে পড়েন উভয় পক্ষের লোকজন। পরে বর মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগ এবং কনে মনিরা আক্তারকে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদের বসিয়ে রেখে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করতে আসার অভিযোগে বর মো. রাব্বি ইসলাম ওরফে সোহাগকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। আর কনে মনিরা আক্তারকে বিয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here