খবর৭১ঃ রাজশাহীতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে বাসের যাত্রী কলেজছাত্র ফিরোজ হোসেনের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাটাখালি পৌরসভার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ফিরোজকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফিরোজের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামে এবং তিনি রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
হাত বিচ্ছিন্নের পর গুরুতর আহত সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির পর একদফা অস্ত্রোপচার করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে ফিরোজ আহমেদকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শরীরে রক্ত দেয়া হচ্ছে। ফিরোজ বগুড়া থেকে রাজশাহী আসছিলেন।
পুলিশ ফিরোজ আহমেদের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি আধাঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে কাটাখালী থানার ওসি নিবারচন্দ্র বর্মণ জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়া থেকে রাজশাহীগামী মোহাম্মদ ট্রাভেলস নামে একটি বাস নগরীর কাটাখালী পৌরসভার সামনে পৌঁছালে নগরীর দিক থেকে বানেশ্বরমুখী একটি দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক বাসটির ডানদিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এ সময় বাসের যাত্রী ফিরোজ কবীর বাম হাত জানালা খুলে বের করে ছিলেন। ট্রাকের ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে ফিরোজ আহমেদের বাম হাত শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে।
বাস ও ট্রাক দ্রুত পালিয়ে গেলে বিচ্ছিন্ন হাতটি মহাসড়কে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে কাটাখালী থানায় ফোন করেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতটি উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার পর বালুবাহী ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে মহাসড়ক ধরে বানেশ্বরমুখে ছুটে পালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
আক্রান্ত বাসটিও দ্রুত নগরীর সিরোইল বাস টার্মিনালে পৌঁছায়। পরে অন্য যাত্রীরা প্রায় অচেতন ফিরোজ আহমেদকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে ফিরোজ আহমেদের কাটা হাতের রক্তক্ষরণ বন্ধে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়।
ফিরোজ আহমেদের শারীরিক পরিস্থিতি এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, ফিরোজ আহমেদকে রক্ত দেয়া হচ্ছে। তার পরিবারকে ফোন করে খবর দেয়া হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত ফিরোজ কবীরের জ্ঞান ফেরেনি।