হোটেলে নাস্তা করে বাড়ি ফেরা হলো না দাদা ও নাতির

0
439

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর(নীলফামারী), খবর ৭১ঃ হোটেলে নাস্তা করে বাড়ি ফেরা হলোনা দাদা ও নাতির। অদক্ষ চালকের পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল তাদের। বুধবার সকালে সৈয়দপুর উপজেলার সৈয়দপুর – নীলফামারী সড়কের পৌর এলাকার ওয়াপদা নতুন হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন ধাওয়া করে পিকআপসহ চালক ও অপর একজনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে সেখান থেকে আটক দুইজনকে থানায়,নিয়ে আসে। এব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহতরা হলো পৌর এলাকার পুর্ব বোতলাগাড়ির ফকিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারি রহমত উল্লাহ (৫৫) ও তার আড়াই বছর বয়সী নাতি তাহসিন রেজা ( তুরাগ)। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সকালে বৃদ্ধ রহমতউল্লাহ ও তার ছেলে রুহুল আমিন ওরফে বাবুর শিশুপুত্র তুরাগকে নিয়ে হাটাহাটি করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন।

হাটা হাটি শেষে হোটেলে উভয়ে নাস্তা করেন। পরে সড়কের পাশ দিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দিলে ওই এলাকায় পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি খালি পিকআপ দাদা ও নাতিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাটি লোকজন দেখতে পেয়ে অদক্ষ চালক ও তার সহযোগী পিকআপটি ( ঢাকা মেট্রো-ন- ১৫-৫০৬৯) নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে ধাওয়া করে পিকআপ সহ তাদের আটক করে। এরআগে পিকআপের ধাক্কায় মারাত্মক আহত দাদা ও নাতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় লোকজন। কিন্তু সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক বৃদ্ধ রহমত উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন এবং শিশু তুরাগের শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তুরাগও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এদিকে এঘটনার পর এলাকায় লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় জনতার হাতে আটক চালক রিমন ইসলাম (১৯) ও তার সহযোগী আবু রায়হানকে (১৮) থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থানার উপ-পরিদর্শক প্রদিপ চন্দ্র রায় জানান, আটক চালক ও তার সহযোগীর কাছে পিকআপ চালনার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিলনা। এব্যাপারে নিহতের পুত্র সৈয়দপুর থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা করেছেন নিহতের ছোটপুত্র রায়হান আলী প্রামানিক।

মামলার আসামীরা হলো শহরের কয়া গোলাহাট এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের পুত্র অদক্ষ পিকআপ চালক রিমন ইসলাম, একই এলাকার আবেদ আলীর পুত্র আবু রায়হান ও পিকআপের মুল চালক রিমন ইসলামের বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম।সৈয়দপুর থানার উপ- পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আরমান আলী জানান, এঘটনায় আটক দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে অপর আসামী মঞ্জুরুল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here