টাইগার শিবিরে দুশ্চিন্তা

0
415

খবর৭১ঃ
সোমবারের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে জয়ে ফিরে বাংলাদেশ। এই জয়ে অনন্য ভূমিকা রাখেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার স্পিন বিষে নীল হয় আফগানিস্তান। তবে জয়ের জন্য যে পুঁজিটা দরকার ছিল সেটি গড়ে দেন মুশফিক-তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। ৩৮ বলে ২৭ রান করেন আগের ম্যাচে ৬৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ।

সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানে জিতে স্বস্তি ফিরেছে টাইগার শিবিরে। তবে অভিজ্ঞ মিডলঅর্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চোট কপালে ভাঁজ ফেলছে মাশরাফি-সাকিবদের।

কাফ ইনজুরিতে পড়েছেন এ টাইগার মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। সে কারণেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে নামেননি দলের অপরিহার্য এ সদস্য।

তবে তার চোট কতটা গুরুতর সেটি এখনও জানা যায়নি। চোট আক্রান্ত জায়গা স্ক্যানিংয়ের জন্য তাকে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে তবেই বিস্তারিত জানা যাবে।

সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কাফ ইনজুরিতে পড়েছেন। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি ফিল্ডিং করতে পারেননি। স্ক্যানিংয়ের জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ক্যান রিপোর্ট দেখার পর সোমবার রাতে অথবা আগামীকাল (আজ) সকালে তার চোটের প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।’

মাহমুদউল্লাহ বরাবরই বাংলাদেশ দলের মিডলঅর্ডারের অন্যতম খুঁটি। ইনিংসের শেষের দিকে তার তোলা ঝড়ই প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়া দলের দুঃসময়ে তার চওড়া ব্যাট বহু ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়।

এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ৩৩ বলে করেছিলেন ৪৬ রান। এর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ৫০ বলে ৬৯ রান। অন্য ম্যাচগুলোতেও রান পেয়েছেন।

মাহমুদউল্লাহর এমন চোট কিন্তু বেশ ভাবাচ্ছে ্টাইগারভক্তদের। বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচেই তাকে মাঠে দেখতে মুখিয়ে আছে দেশবাসী।

এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলে একের পর এক চোট হানা দিচ্ছে। গেল ২৫ মে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে অনুশীলনের সময় পিছলে পড়ে ঊরুর কিছুটা ওপরে পাওয়া হালকা চোটে ২৮ মে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামানো হয়নি ওপেনার তামিম ইকবালকে।

ঊরুর চোটের কারণে শ্রীলংকা বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডে রাখা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে। যদিও বৃষ্টির কারণে ওই ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি।

ওই ম্যাচে সাইডস্ট্রেনের পুরনো চোট ফিরে আসায় ভাবনায় পড়তে হয়েছিল টাইগার দলপতি মাশরাফিকে নিয়েও। যদিও সেই ব্যথা অল্প চিকিৎসাতেই প্রশমিত হয়েছে। এরপর পিঠের পুরোনো ব্যথা ফিরে আসায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাগ আউটে কাটাতে হয়েছে সাইফউদ্দিনকে।

আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে কাঁধের চোটে অজিদের বিপক্ষে নামা হয়নি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। তবে ভাগ্য দেবীর প্রসন্ন দৃষ্টি থাকায় অল্পতেই অভিশপ্ত চোট থেকে রক্ষা পেয়ে সাউদাম্পটনে আফগানবধে ভূমিকা রেখেছেন সাইফ-সৈকত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here