খবর৭১ঃ পরমাণু চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের প্রত্যাহারের কারণে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।এ সময় পারস্য উপসাগরীয় দেশ, ইউরোপ ও এশিয়াকে নিয়ে জোট করে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে নামার আহ্বান জানান।খবর এএফপির।
সৌদি ও আমিরাতি নেতাদের সাধারণ (কমন) শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে জোরালো পরামর্শ দেন। সোমবার তারা বলেছে, মার্কিন যে কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা তাদের (ইরান) ওপর কোনো কার্যকর ‘প্রভাব’ পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়ে বলেছিল যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানের কর্তৃক মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করার পরে। এসব ধারাবাহিক ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের জলসীমায় তেলের ট্যাংকারে হামলা।
মার্কিন চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান (ড্রোন) ভূপাতিত করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে সামরিক হামলার হুমকি দিলেও পরে তা থেকে সরে আসেন। এর একদিন পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও লোহিত সাগরের শহর জেদ্দায় সৌদি রাজা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, সৌদি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরে পম্পেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
পম্পেও বর্ণনা করেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই বৃহৎ জোটের চ্যালেঞ্জ ইরানের উপস্থিতি।
পম্পেও বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব কিভাবে আমরা কৌশলগতভাবে জোট ও একটি বিশ্বব্যাপী জোট গঠন করতে পারি তা নিশ্চিত করা যায়।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় জোট খুঁজছে না, ইউরোপ ও এশিয়াকে বোঝানে হয়েছে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ মানচিত্র দেখিয়ে দাবি করেছেন মার্কিন ড্রোন তেহরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।