খবর৭১ঃ রাজধানীসহ সারাদেশেই অনুমোদনহীন ওষুধের নাম প্রেসক্রিপশনে দেদারছে লিখছেন এক শ্রেণির চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিন রোডের ওষুধের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়ে এমন দৃশ্য নজরে আসে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের।
অভিযানে একটি দোকানে বিক্রয়নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ ভায়াগ্রা ওষুধ পাওয়া যায়। যেগুলো অনেক ডাক্তার রোগীদের প্রেসক্রিপশনে লিখে থাকেন বলে দোকানি জানান, যা শুনে হতবাক হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কারা এসব ওষুধ লিখছেন তাদের তালিকাও চান দোকানির কাছে। তবে সেটা দিতে পারেননি দোকানি।
অভিযানে থাকা ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, এই ভায়াগ্রা খুবই ভয়ঙ্কর। যেটা খেলে হার্ট অ্যাটাক করে মানুষ মারা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রিন রোড সড়কের দোকানগুলোতে অভিযান চালান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। সঙ্গে ছিল ওষুধ প্রশাসন ও র্যাব-২। অভিযানে দশটি দোকানিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
অভিযানে গ্রিন ফার্মাকে সাত লাখ, বেস্ট ফার্মেসিকে দেড় লাখ, তাজ ফার্মেসিকে দেড় লাখ, সেফ ফার্মাকে দেড় লাখ, স্টার ফার্মেসিকে ১.৫ লাখ, হক ফার্মাকে দেড় লাখ ও হক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৫০ হাজার, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালকে এক লাখ, রাসেল ফার্মেসিকে এক লাখ, তাজওয়ার ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘তাছাড়া ওষুধগুলো যে তাপমাত্রায় রাখার কথা বেশ কিছু দোকানে সেটা পাওয়া যায়নি। দুটো দোকানে লাইসেন্সে সমস্যা পাওয়া গেছে এবং কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারও পাওয়া গেছে। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ১৫ দিন পরে দোকানগুলো ফলোআপ পরিদর্শন করা হবে আসলেই তারা কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দশটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে প্রায় ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখানকার একটি দোকান ছাড়া সব দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। যেগুলো তারা বিক্রি করত। এছাড়া কিছু অনুমোদনহীন ওষুধ পাওয়া গেছে যেগুলো দেশের আইনে বিক্রয় নিষিদ্ধ। যেগুলো তারা কোন অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করছিল।’