মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, খবর ৭১ঃ
“কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি? কেমনে রাখবি তোর মন আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি… ”
ভোটারদের সাথে পিরিতি বাড়িয়ে বাউল শিল্পী থেকে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন জনপ্রিয় বাউল শিল্পী মুক্তা আক্তার। বাউল শাহ আব্দুল করিমের এই গানটি তার প্রিয় একটি গান।হবিগঞ্জের নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (১৮ জুন) পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ২০২ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালে উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও গানে থাকবেন কি না জানতে চাইলে বলেন- গান রক্তের সাথে মিশে গেছে অতএব গান ছাড়তে কষ্ট হবে।
তাছাড়া গানকে ভালবাসি বলেই মানুষের কাছে পরিচিতি বেশি। তাই আজ আমি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পেরেছি। আমার অনেক ভোটার আছেন যারা আমাকে দেখেননি শুধু নাম শুনে ভোট দিয়েছেন।মুক্তা আক্তার জনপ্রতিনিধির চেয়ে কন্ঠশিল্পী হিসেবেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি। অসংখ্যা বাউল গান গেয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি। কথা প্রসঙ্গে বলেন- বাউল শাহ আব্দুল করিম, রাধারমণ, দ্বীনহীন, শেখভানু শাহের গান গেয়ে থাকেন। তিনি শুধু গানের শিল্পীই নয়, অনেক গানের লেখকও। এমনি করে অডিও, ভিডিও মিলে তিনশতাধিক এ্যালবাম বের হয়েছে তার।
সর্বশেষ ‘টেংরা বন্ধু’ নামে অডিও এ্যালবামটি বের হয় এক বছর আগে। তবে জনপ্রিয় এ্যালবামের মধ্যে মাটির বউ, কঠিন বন্ধু, মুর্শিদের পাগল, প্রেমদাসি উল্লেখ্যযোগ। সম্প্রতি আরো একটি এ্যালবামের রেকর্ডিং শেষ হয়েছে, শুধু বাজারে আসার অপেক্ষায়।১২ বছর বয়স থেকে গানের জগতে মুক্তা আক্তার। দীর্ঘ ২২ বছর যাবত গানের জগতেই আছেন এবং জনসেবার পাশাপাশি গানেই থাকতেন চান এই বাউল শিল্পী। উপজেলার সুরাইব গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী মুক্তা আক্তারের স্বামী মোঃ তাহির মিয়া একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী শরিফাবাদ গ্রামে। তার বাবা সোনা মিয়াও গান গাইতেন।
মুক্তা আক্তার রাজনীতিতেও সক্রিয়। বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগ নুরপুর ইউনিয়ন শাখা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে যুব মহিলা লীগে রাজনীতি করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। জেলা বাউল শিল্পী কল্যাণ ফেডারেশনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং সুতাং থিয়েটারের একজন নিয়মিত সদস্য।