ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। গত বছরের ১৮ অক্টোবর ভক্ত-শ্রোতাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নেন তিনি। তাকে হারানোর শোকে মাতম নেমেছিল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
রাজকীয় এক প্রস্থান। নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশটাকেই। শিল্পী-সাহিত্যিক-খেলোয়াড়-রাজনীতিবিদ; সবাইকে শোকে আচ্ছন্ন করেছিল ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর অকাল মৃত্যও। শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হয়েছিলেন।
ভক্তরা কেউ কেউ এসেছিল ফুল হাতে, কেউ কেউ হাজির হয়েছিলেন বাচ্চুর প্রিয় গান ‘রুপালি গিটার’ নিয়ে। চিরতরে শায়িত হবার পর কোনো এক পাগল শোকাতুর ভক্ত প্রিয় শিল্পীর কবরের উপর রেখেছিলেন কিছু ফুল। তারই একপাশে বসিয়ে রেখেছিলেন রুপালি গিটার। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নতুন খবর হলো, সেই রুপালি গিটার নিয়ে এবার গড়ে উঠছে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর। চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়কে ঘোষণা করা হবে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর হিসেবে। এমনটাই জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর তার নামাজের জানাজায় অংশ নিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবর্তক মোড়কে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
গত বছরের ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়কটির সৌন্দর্যবর্ধন, সবুজায়ন ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। অডিওস ইঙ্ক ও স্ক্রিপ্ট যৌথ উদ্যোগে এ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
সেই চুক্তি মোতাবেক সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় প্রবর্তক মোড়ে বসানো হচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর সেই রুপালি গিটারের আদলে একটি গিটার। এরই মধ্যে অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিচু এলাকায় পানি জমার আশঙ্কার কারণে প্রবর্তক মোড়ে আপাতত কাজ স্থগিত রয়েছে। এই এলাকার ড্রেনের কাজ সম্প্রসারণ করার পর বাকি অংশের কাজ শুরু করা হবে।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আইয়ুব বাচ্চু আমাদের গর্ব। তার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য প্রবর্তক মোড়কে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর করা এবং তার বিখ্যাত গান রুপালি গিটারের সেই গিটার স্থাপন করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় এ স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে।
এই খবরে খুশির বন্যায় ভাসবেন আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরইমধ্যে সংগীতাঙ্গনের অনেকেই এই ঘোষণা ও উদ্যোগের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।