আবু হানিফ, শেরপুর প্রতিনিধি, খবর ৭১ঃ শেরপুর, বকশীগঞ্জ ও রৌমারী থেকে ব্রক্ষপুত্র সেতুতে আসাযাওয়ার পথে অন্তত ২৪ জায়গায় চাঁদা দিতে হয় সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের। এতে যে টাকা রোজগার করেন তার অধিকাংশই বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা দিতে হয় তাদের।
জামালপুর ও শেরপুর জেলার অটো রিক্স শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন শাখা কমিটির নামে এসব চাঁদা উঠানো হচ্ছে। ব্রক্ষপুত্র সেতুর জামালপুর প্রান্তে, শেরপুর থানার মোড়, বাসস্ট্যান্ড, খোয়ারপাড়, ডুবারচর, ঝগড়ারচর, শ্রীবরদী, বকশীগঞ্জ, পাথরেরচরসহ ২৪ জায়গায়। প্রতিটি স্পটে শ্রমিকরা চাঁদা দেয়া যে টাকা তারা রোজগার করে তার বেশীভাগই চাঁদা দিয়ে দেয়ায় খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে শ্রমিকরা। তাই তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়।
কোন নতুন সিএনজি অটো রিক্সা কিনলে তাহলে ব্রক্ষপুত্র নদের জামালপুর অংশে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা এককালীন চাঁদা দিয়ে রোডে গাড়ী নামাতে হয়। তা-না হলে ওই গাড়ী রোডে চলতে দেয়না তারা।
চাঁদা দিতে অস্বীকার বা কম দিলে তাদেরকে নানাভাবে অপমান অপদস্থ করে থাকে শ্রমিক সংগঠনের নামধারী লাঠিয়ালরা। এসব কারণে এর প্রতিবাদে চারদিন ধরে রৌমারী, বকশীগঞ্জ, শ্রীবরদী ও শেরপুরের সিএনজি চালিত অটো রিক্সার চালকরা ধর্মঘট করছে।
তারা শেরপুর সদর উপজেলার শিমুলতলী বাজারে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে আসছে শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা আরো জানান, শ্রমিকদরে ভাগ্যের উন্নয়নের কথা বলে চাঁদা উঠানো হলেও, সে টাকা সাধারণ শ্রমিকরা পায়না। লুটেপুটে খাচ্ছে নেতারা।
মানব বন্ধনে এসব অভিযোগ করেন স্থানীয় সিএনজি চালক শ্রমিক নেতা, শাহজাহান, ছামিদুল ইসলাম, হেকমত আলী, শাহীন ইসলাম ও ফরিদ মিয়া।