খবর৭১ঃডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপের দুই সদস্য। বুথের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে পুরো দৃশ্য।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে সিসি ক্যামেরার ফুটেজকে ভুয়া বলে দাবি করছে গ্রেফতার হওয়া ইউক্রেনের ছয় নাগরিক। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অস্বীকার করলেও অপরাধীরা পার পাবে না। ফরেনসিক রিপোর্টে সবকিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন আরও তিন ইউক্রেন নাগরিকের নাম পেয়েছে তদন্ত সংস্থা ডিবি। তবে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের অসহযোগিতার সুযোগে পালিয়ে গেছে তারা। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জালিয়াতির টার্গেট নিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে ইউক্রেনের ১০ নাগরিক। তারা দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৯টি বুথে হানা দিয়ে ১৫ লাখ টাকা তুলে নেয়। চক্রের সাতজন উঠে পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে। বাকি তিনজন ওঠে উত্তরার এরোলিংক হোটেলে। ৩১ মে খিলগাঁওয়ে বুথে টাকা চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে চক্রের দুই সদস্য। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওলিও হোটেলে অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সেখান থেকে ভিটলা নামের একজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের বিষয়টি টের পেয়ে উত্তরার হোটেলে ওঠা তিনজন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারা মালয়েশিয়া গেছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তারা বলেন, ঘটনার পরপরই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু তারা সহযোগিতা করেননি। আর এই সুযোগে পালিয়ে গেছে সন্দেহভাজন তিনজন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হলে সেটিকে ভুয়া বলে দাবি করে অভিযুক্ত ইউক্রেনের নাগরিকরা। ভিডিও ফুটেজ এডিটিংয়ের মাধ্যমে বানানো হয়েছে দাবি করে তারা বলে, তারা বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছে। তবে কোন কোন দর্শনীয় স্থান দেখার পরিকল্পনা ছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এমনকি তাদের কাছে থাকা এটিএম কার্ডগুলোর বিষয়ে জানায়, ইতালির একটি নাইট ক্লাবে এসব ‘কুড়িয়ে’ পেয়েছে তারা। ডিবি পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। তবে ভিডিও ফুটেজের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে জালিয়াত চক্রের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ থাকবে না। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির খিলগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন বলেন, প্রথম দফার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।