খবর৭১ঃ
সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে শুরু হয়েছে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯’।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত।
ডিএমপির ৫০টি থানার ৩০২টি বিট থেকে একযোগে চলবে এ তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম। এ ব্যাপারে পুলিশকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করে নগরবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
নাগরিক তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত শহরে নাগরিকদের তথ্য ডাটাবেজ সংগ্রহ করা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তা সুদৃঢ় করার জন্য, কোনো অপরাধ প্রতিকার, প্রতিরোধ এবং উদঘাটনের জন্য।
কমিশনার বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি, অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গড়িমসি করছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আবারও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করছি।
তিনি জানান, ১৫-২১ জুন প্রতিটি থানার বিটে বিট অফিসার ওই এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী নেতা, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশের নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়ি যাচাই করে দেখবে নাগরিক তথ্য প্রদানে কেউ বাদ পড়েছে কিনা।
কেউ বাদ পড়লে তাকে তথ্য ফরম দিয়ে সেই ফরমে তথ্য পূরণ করে ফেরত নেবে। এরপর ২১ জুন থেকে পরবর্তী ৭ দিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে গঠিত সার্ভিলেন্স টিম র্যা মডম সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় যাচাই করে দেখবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা, জানান কমিশনার।
তিনি বলেন, কেউ বাদ গেলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়ারে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। যাতে কেউ বাদ না যায়। আমরা চাই ঢাকা শহরের বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস সফটওয়ারে অন্তর্ভূক্ত করতে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সিআইএমএস সফটওয়ারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার ফলে আমাদের এই সাফল্য এসেছে। হলি আর্টিসান হামলার পর থেকে ঢাকা শহরে নাগরিকের সঠিক তথ্য প্রদান ছাড়া কেউ বাসা ভাড়া নিতে পারে না।
নগরবাসীকে অনুরোধ করে কমিশনার বলেন, আপনারা নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন। সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করুন।