খবর৭১ঃ হুয়াওয়ের তৈরি অপারেটিং সিস্টেম হংমেং নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে স্মার্টফোন নির্মাতা অপো ও ভিভো। এ ছাড়া নতুন ওএস নিয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করেছে হুয়াওয়ে। নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম হংমেং নিয়ে নিজস্ব পরীক্ষাগারেও বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো শুরু করেছে হুয়াওয়ে। নতুন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের চেয়েও দ্রুতগতিতে কাজ করছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক কয়েকটি ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, হুয়াওয়ের ওএস অ্যান্ড্রয়েডের থেকে ৬০ শতাংশ দ্রুতগতিতে কাজ করবে এবং নতুন অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস স্মার্টফোন, ট্যাব, পিসি, টিভি, অটোমোবাইল, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্যসহ সব ধরনের ডিভাইসে চলবে।
কবে নাগাদ নতুন ওএসটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে, তা এখনো জানা যায়নি। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, বছরের শেষে বা সামনের বছরের শুরুতে আসবে হংমেং ওএস।
অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরির ব্যাপারে হুয়াওয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা শুরু করে ২০১২ সালে। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় নতুন করে গতি পায় নিজস্ব ওএস নির্মাণের প্রকল্পটি।
বছরের শেষে বা সামনের বছরের শুরুতে হুয়াওয়ে পি৪০ ফোনে হংমেং ওএসটির দেখা মিলতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস ।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, যত দ্রুত সম্ভব হংমেং অপারেটিং সিস্টেম আনতে হুয়াওয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।
গত মার্চে হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইউ বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুত করেছি।’
চলতি বছরের মধ্যেই হুয়াওয়ে তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) চালু করার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। একই সঙ্গে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি তাদের অপারেটিং সিস্টেমের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক দুটি সংস্করণ থাকবে বলেও নিশ্চিত করেছে। অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে তাদের ‘এআরকে ওএস’ বা ‘আর্ক ওএস’।
চলতি বছরের মার্চে হুয়াওয়ে এবং মার্কিন সরকারের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে হুয়াওয়ের কনজিউমার বিজনেস বিভাগের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রিচার্ড ইউ বলেন, ‘হুয়াওয়ে এবং মার্কিন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে হুয়াওয়ে যদি অ্যান্ড্রয়েড বা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য হুয়াওয়ে তার স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের জন্য নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে।’
১৫ মে ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে। এতে সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সংস্থা থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ করা হয় হুয়াওয়ের জন্য। অবশ্য হুয়াওয়ের বিধিনিষেধ তিন মাসের জন্য শিথিল করে যুক্তরাষ্ট্র।