খবর৭১ঃ পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য আগামী অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই অর্থ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণ।
চলতি অর্থবছরে পদ্মাসেতুর জন্য বরাদ্দ রাখা আছে দুই হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সে তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ২ হাজার ৭১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই বাটের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তিনি মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দের কথাও জানান। পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পেও বরাদ্দ থাকছে ৩ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে ১০টি মেগা প্রকল্পের জন্য অর্থমন্ত্রী বরাদ্দ থাকছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৪ হাজার ৭৯৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
মেগা প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে রূপপুর পারমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সব মিলিয়ে ১৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে এই প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৩১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
রাজধানীর বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ২১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পে হচ্ছে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। চলতি এডিপিতে বরাদ্দ ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৭০৫ কোটি টাকা। দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৫৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।