খবর৭১: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় শুরু হচ্ছে।
দুপুর পৌনে ১২টায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে চার দিনব্যাপী এ সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক বুধবার পৌনে ১২টায় বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হবে।
বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী রজনী কান্ত মিশ্রার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মহাপরিচালক পর্যায়ের এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর, বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতর, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনে বিএসএফের পক্ষে সদর দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ (ইডডঅ) এর ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিজিবি পরিচালিত ‘সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি’ (সীপকস) এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৫টায় পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে প্রীতি কাবাডি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা, সনেগা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা, অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা, মুহুরিরচর এলাকায় স্থায়ী সীমান্ত পিলার নির্মাণ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
১৫ জুন শনিবার সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে।