খবর৭১ঃ চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তবে চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা লিখিত আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন; অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেন ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
চলতি বছরের ২০ মার্চ বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
লিখিত পরীক্ষায় একটি পদের জন্য চারজন পাস করেন। এ হিসাবে ৭১৯ মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
ফল ঘোষণার পর পরই সুযোগবঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত ২২ মার্চ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শুরু করেন চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা।
ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রোববার সকালে তারা উপাচার্যের অফিসে যেতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীদের (পুলিশ-আনসার) হামলায় প্রায় ১৫ জন চিকিৎসক আহত হন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
ওই হামলার ঘটনায় দুপুর থেকে ভিসির কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন মেডিকেল অফিসার পদে চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা।
এদিকে চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন চলার মধ্যেই চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার থেকে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। কিন্তু তার একদিন পরই আজ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হলো।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে সেই সময় চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করে তিন প্রোভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।