খবর৭১ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরান ঢাকার কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানি শেষে রিটটি নিয়মিত বেঞ্চে নিয়ে পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে সোমবার শুনানিতে সাপ্লিমেন্টারি নথিপত্র এফিডেভিট আকারে দাখিলের জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় প্রার্থনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
সোমবার ব্যারিস্টার মীর হেলাল জানান, সম্পূরক নথিপত্র দাখিল করার জন্য সময় চাওয়া হলে আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেন।
২৬ মে আদালতের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আদালত স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন।
পরের দিন রিটের শুনানি করতে গেলে মামলায় হাইকোর্টের আদেশের পর দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পক্ষভুক্ত করা হয়।
২৮ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ মামলাটি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে আদালত স্থানান্তরে জারি করা গেজেট বাতিল চেয়ে গত ২১ মে আইন সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। সে নোটিশে গত ১২ মে জারি করা গেজেট বাতিলে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে গত ১২ মে জারি করা এ-সংক্রান্ত গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করা হলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ২৬ মে রিট আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।