খবর৭১ বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
গত ১-৮ জুন পর্যন্ত ৫৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যে দেশে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে। এবার দেশের সামগ্রিক আবহাওয়া ডেঙ্গুর যথেষ্ট উপযোগী। এ রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে হলে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে সমীক্ষা চালিয়ে এবারের ডেঙ্গুর সেরোটাইপ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুন পর্যন্ত ৩০৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১১৮, মার্চে ১২, এপ্রিলে ৪৪, মে মাসে ১৩৯ এবং চলতি জুনের ৮ তারিখ পর্যন্ত ৫৫ জন আক্রান্ত হন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসা শেষে ২৭৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত বছর এ রোগে ৯ হাজার ২২৮ জন আক্রান্ত হন এবং ২৪ জনের মৃত্যু ঘটে। অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সী এক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে গত ২৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী জুন-জুলাই হচ্ছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক এবং মুগদা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম শামসুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ডেঙ্গু থেকে নিরাপদ থাকতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির আশপাশে কোথাও যেন বৃষ্টির পরিষ্কার পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।