বিদেশ থেকে সোনা আনতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বাড়তি সুবিধা

0
494

খবর৭১ঃ বিদেশ থেকে সোনা আনার ক্ষেত্রে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এ জন্য শুল্ক সুবিধা দিতে ব্যাগেজ রুলসে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ভরি সোনা আনার ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে এটি ভরিপ্রতি ২ হাজার টাকা করা হতে পারে। তবে বিদ্যমান অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যাগেজ রুলসের বিদ্যমান শর্ত অনুযায়ী, অবশ্যই যাত্রীদের বিদেশ থেকে আনা সোনা বার বা স্বর্ণপিণ্ড হতে হবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে ১২টির বেশি সোনার বার আনতে পারবেন না। বর্তমানে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারেন। এ ছাড়া শুল্ক দিয়ে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি ওজনের সোনার বার আনতে পারেন। এই শর্ত অপরিবর্তিত রেখে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দেশের সোনার বাজারে শৃঙ্খলা আনতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের স্বর্ণনীতি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলস সংশোধন করে ভরিপ্রতি শুল্ক ২ হাজার টাকার সুপারিশ করা হয়েছিল।

যাত্রীদের সোনা আনার ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘সোনা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একাধিক সোনা ব্যবসায়ী আবেদন করলেও তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় সোনা আনার ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর বিষয়ে সরকার আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।’

বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী টেলিভিশন, স্বর্ণালংকার ও সোনার বার, হোম থিয়েটার, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারসহ ১২ ধরনের পণ্য শুল্ক দিয়ে দেশে আনতে পারেন।
বিদেশ থেকে সোনা আনার ক্ষেত্রে প্রতি ভরির জন্য শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হতে পারে আগামী অর্থবছরে।

এদিকে গত ২৮ মে দেশের সোনা ব্যবসায়ী ও স্বর্ণালংকার প্রস্তুতকারীদের কাছে অঘোষিত বা অবৈধভাবে থাকা সোনার মজুত ঘোষণায় আনার সুযোগ দিয়েছে এনবিআর। এই সুযোগ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। এ জন্য প্রতি ভরি সোনা ও সোনার গয়নার জন্য ১ হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পোলিশড ডায়মন্ডের জন্য ৬ হাজার টাকা ও প্রতি ভরি রুপার জন্য ৫০ টাকা কর দিলেই হবে। এভাবে মজুত থাকা ‘কালো’ সোনা ‘সাদা’ করা যাবে।

তবে সোনা ব্যবসায়ীরা যাতে সহজেই এই সুযোগ নিতে পারেন, সে জন্য এক অভিনব মেলা করতে যাচ্ছে এনবিআর। ২৩, ২৪ ও ২৫ জুন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সোনা মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তিন দিনের ওই মেলায় সোনা ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কর দিতে পারবেন। অর্থাৎ মেলার মাধ্যমে ‘কালো’ সোনা ‘সাদা’ করার সুযোগ দিতে যাচ্ছে এনবিআর।

এই সুযোগ যেসব ব্যবসায়ী নিতে পারবেন না, তাঁদের জন্য খারাপ খবরও আছে। আগামী জুলাই মাস থেকে কালো বা অবৈধ সোনার মজুত খুঁজতে মাঠে নামবে এনবিআর। কোনো সোনা ব্যবসায়ীর মজুতে কালো সোনা থাকলে ওই সোনার মূল্যের ওপর নির্ধারিত হারে কর ও জরিমানা আদায় করা হবে।

এই বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (কর নীতি) কানন কুমার রায় বলেন, ৩০ জুনের পর কোনো ব্যবসায়ীর কাছে অঘোষিত সোনার মজুত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্ধারিত হারে কর যেমন আদায় করা হবে, তেমনি জরিমানাও গুনতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here