খবর৭১ঃ দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পরে গোটা ভারত যখন আনন্দে মাতোয়ারা, তখন ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন দেশটির ক্রিকেটের একসময়ের সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহ।
যুবরাজের ইচ্ছা ছিল চলতি বিশ্বকাপ খেলেই অবসর নেবেন তিনি। কিন্তু তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিরাট কোহালিরা যখন রাণীর দেশে নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছেন, তখনই যুবরাজ হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন।
তার অবসর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। শেষের দিকে প্রায় প্রতিটি সাংবাদিক বৈঠকেই নিয়ম করে তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হত, কবে অবসব নেবেন? চুপ করে থাকতেন যুবি। একই প্রশ্ন শুনতে শুনতে বিরক্ত বাঁ হাতি অলরাউন্ডার এক বার বলে ফেলেছিলেন, ‘একটা সময়ের পর সবাইকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ২০০০ সাল থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। ১৭-১৮ বছর হয়ে গেল। ২০১৯ এর পর আমি এই ব্যাপারে ভাবব।’
তিনি যে অবসর নিতে চলেছেন, এরকম একটা খবর উড়ছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য যুবির অবসরের খবরটা চাপা পড়ে গিয়েছিল। সোমবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০১১ বিশ্বকাপের মহানায়কের বিদায় জানানোর খবর ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরেই যুবি ঘোষণা করেন, অনেক হয়েছে। আর নয়।
যুবরাজ সিংহের রয়েছে বর্ণময় ক্রিকেট ক্যারিয়ার। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছটা ছক্কা হাঁকানো, ২০১১ বিশ্বকাপ প্রায় একার হাতেই জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতির পরে ফিরে আসেন রাজকীয় ভাবেই। আইপিএল খেলে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন সফল হবে না বুঝতে পেরেই বিশ্বকাপের মাঝখানে অবসরের ঘোষণা করে দিলেন তিনি।