খবর৭১ঃমিষ্টি কুমড়া সবার প্রিয় না হলেও খুবই পরিচিত সবজি। মিষ্টি কুমড়া কথা আমরা জানলেও এর বীজের গুণের কথা আমাদের অনেকের অজানা। মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ।
আমাদের অনেকের অজানা যে মিষ্টি কুমড়া অনেক রোগের ওষুধ। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আসুন জেনে নেই যেসব অসুখ সারাবে মিষ্টি কুমড়া বীজ।
বাতের ব্যথা
অনেকে বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। আর মিষ্টি কুমড়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হতে দেয় না।এভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথা কমিয়ে থাকে।
হাড়ক্ষয় রোধ
হাড়ক্ষয় রোধ করে মিষ্টি কুমড়া। হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ হলো শরীরে জিংকের অভাব। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এটি হাড়ক্ষয় রোধ করে।
কোলেস্টেরল কমায়
খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। যার পরিমাণ ২৬৫ মিলিগ্রাম বা ১০০ গ্রাম।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়
মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক।মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার মাধ্যমে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।
লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ
মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন আছে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০% পূরণ হবে। লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার
মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।