খবর ৭১: চলমান ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটারদের নিয়ে আইসিসির ভিডিও চিত্র। এবার আইসিসির ভিডিও চিত্রে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার গল্প। যেখানে তাকে একজন জাতীয় বীর ও অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভিডিও চিত্রটির শুরুতেই মাশরাফিকে এভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, ‘সে একজন ক্রিকেটার, একজন নেতা, একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য, ক্রিকেটার হিসেবে একজন অধিনায়ক, একজন জাতীয় বীর, একজন যোদ্ধা। সে একজন বাংলাদেশি কিংবদন্তি।’
এখনো ক্রিকেট মাঠে মাশরাফির দাপটকে কিছুটা অলৌকিক ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তার হাঁটুতে যে ৭বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এতবার শল্যবিদের ছুরি-কাঁচির নিয়ে যেয়ে আর মাঠে ফিরতে পারেননি কোনো পেসার। কিন্তু তিনি মাশরাফি বলেই হয়তো পেরেছেন।
নিজের ক্যারিয়ারের ইনজুরির প্রভাব নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হল ইনজুরি। আমি বরাবরই ক্রিকেটটাকে ভালোবাসি। সবসময়ই সর্বোচ্চ চেষ্টা করি খেলার। কখনো হাল ছেড়ে দিইনি এবং সৌভাগ্যের বিষয় আমি সফল হয়েছি।’
চোটের কবলে পড়ে টানা ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপও রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়কের, ‘১৮ বছরের ক্যারিয়ারে যদি আমি সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারতাম, তাহলে হয়তো আজ অন্য কোনো স্থানে থাকতাম। কিছু মানুষ রেকর্ড দেখে আর কিছু মানুষ দেখে কতটা পরিশ্রম করেছি। আমি পরিসংখ্যানে বিশ্বাস করি না। কারণ পরিসংখ্যান আমার সাথে যাবে না। আমরা পারফরমই সব।’
অধিনায়কত্বের আগে নিজের বোলিংকেই গুরুত্ব দেন এই পেসার। বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব করার আগে আমার কাজ ভালো বোলিং করা। আমার স্পেল শেষ হওয়ার পরে আমি ম্যাচের পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবি। আমি বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে দেখতে চাই। সেমিফাইনাল এমন একটি ম্যাচ যদি ওই দিনটি আমাদের হয় তাহলে জয় আসবেই। তবে সেইজন্য আমাদের অবশ্যই সিরিয়াস ক্রিকেট খেলতে হবে।’
নিজের ক্যারিয়ার শুরুর সময়ের স্মৃতিচারণ করেন এই ডানহাতি পেসার, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমার অভিষেক হয়েছিল। আমি খুবই খুশি ছিলাম যে আমি ক্রিকেট খেলছি। আমাকে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে। আমার বাবা-মা, বন্ধুরা, আত্মীয়স্বজন সবাই আমাকে টিভিতে দেখছে- তখন এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের বিষয় ছিল।’
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এই পর্যন্ত অনেক কিছুই ঘটে গেছে। আমার চোটে পড়ি আবার দলেও ফিরে আসি। আমি নিজে খুব গর্বিত যে আমি কখনো হাল ছেড়ে দিইনি। আমি প্রতিটি মুহূর্তকেই উপভোগ করি।’