খবর ৭১ঃ টানা সাত ম্যাচে হারের লজ্জায় লাল হওয়া দলটিই আবার এ বছর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৫ ওয়ানডের ১১টিতে জেতা অস্ট্রেলিয়ার পুনরুত্থানের শুরু যাদের বিপক্ষে, সেই দলটিই আজ বিশ্বকাপে তাদের সামনে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা ও জসপ্রিত বুমরাহর যুগলবন্দিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে হারিয়ে অভিযান শুরু করা বিরাট কোহলির ভারত।
তাদের মাটিতে গত মার্চে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া বিপাকেও ছিল। প্রথম দুই ম্যাচের হারে ২-০-তে পিছিয়ে পড়া দলই আবার গাঝাড়া দিয়েছিল শেষ তিন ম্যাচে।
টানা তিন জয়ে ৩-২-এ সিরিজ জিতে নেওয়ার স্মৃতিই আজ ওভালের লড়াইয়ের আগে দারুণ উজ্জীবিত করছে অ্যারন ফিঞ্চদের। মহারণের আগে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সে কথা ঘটা করে বলেছেনও।
তাঁর ভাষায়, ‘ভারতে জেতা ওই তিনটি ম্যাচ আমাদের মধ্যে এ বিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে যে আমরা যদি ওদের মাটিতে জিততে পারি, তাহলে হারাতে পারব এখানেও। এ ম্যাচ খেলার আগে তাই আমরা সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামছি। ’ তিন মাসের পুরনো স্মৃতি যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রেরণা, তখন মাত্র তিন দিন আগের সাফল্যেও ডুব দিতে চাইছেন না ভারতের রোহিত শর্মা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা এ ওপেনার বরং বর্তমানেই থাকতে চান বেশি, ‘অতীত তো অতীতই। যা ঘটে গেছে, তা দিয়ে কিছুই হবে না। নির্দিষ্ট দিনে আপনি কতটা ভালো করবেন, সেটিই আসল। আমি তাই পেছন ফিরে তাকাব না। ’
ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের সামনে তাকানোর বিশ্বাসের ভিত অবশ্য অতীতই। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিতের ব্যাটিং গড় ৬০-এর বেশি। গত বিশ্বকাপের পর থেকে এ পর্যন্ত গড়ও ৬৩। দলের হয়ে আরো অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার তাড়নাই হয়তো আগের সাফল্যে গা ভাসাতে দেয় না রোহিতকে, ‘আমি জানি যে দলের কাজটি করে দিতে আমি সক্ষম। তাই রেকর্ড, মাইলফলক কিংবা র্যাংকিংয়ে কোথায় আছি, এসবে আমি নজর রাখি না। ভালো খেলা এবং দলের জয়ে অবদান রাখাতেই আমার যত মনোযোগ। ’ আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেই লক্ষ্যে নামবেন তিনি।
এই দুই দলের লড়াইয়ের উত্তাপ এত বেশি যে সেটি সব সময়ই পেয়ে আসছে মহারণের মর্যাদা। আজ ওভালে আরেকটি মহারণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিও আছে। স্পিনসজ্জায় ভারত কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পেস আক্রমণ নিয়ে সেটি বলার উপায় সেই। এই বিভাগে যথেষ্ট বারুদ মজুদ আছে দুই শিবিরেই। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিচেল স্টার্ক সেটি দেখিয়েছেন। তবে একই ম্যাচে ক্যারিবীয়দের পেস সামলাতেও গলদঘর্ম হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সুবাদে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এ বিশ্বকাপ শুরু করা ফিঞ্চের দলের ব্যাটিংয়ের একটি বড় পরীক্ষাও হয়ে গেছে। ভারতের বোলিংও ফেলতে পারে একই পরীক্ষায়। পাল্টা আঘাতের সক্ষমতা আছে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণেরও। সেটি সামলে রোহিত-বিরাট কোহলিরা কী করতে পারেন, সেই পরীক্ষাও হয়ে যাবে আজকের ওভালে।