খবর৭১:২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর নিজেদের মাটিতেও তাদের হারিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে সোফিয়া গার্ডেনসের ছোট মাঠে বাংলাদেশের বোলারদের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে। সেই কারণে মাশরাফি ডিফেন্সিভ ক্রিকেট খেলার পক্ষে।
শুক্রবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ওরা অনেক শক্তি নিয়ে আমাদের আক্রমণ করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। অন্য দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ড যেভাবে শক্তি প্রয়োগ করে, তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রয়োগ করবে আমাদের বিপক্ষে। স্কিল দিয়ে বলুন বা শরীরী ভাষা দিয়ে, আমাদেরও সেটা আটকানোর পরিকল্পনা করতে হবে। অন্য দলের সঙ্গে যত আক্রমণই করি, ইংল্যান্ডের সঙ্গে বেশি আক্রমণ করতে গেলে উল্টো ফল হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকবে। কারণ ওরা শুরু থেকে শেষ— সবসময় আক্রমণ করে। ডিফেন্সই এখানে ভালো আক্রমণ।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলার বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড যে ধরনের ক্রিকেট খেলে, ওদের সঙ্গে ডিফেন্স করাটাই ভালো হবে। ওরা শেষ চার বছরে যে কোনও অবস্থায় আক্রমণাত্মক মানসিকতায় থেকেছে। সবসময় চায় সাড়ে ৩০০ বা ৪০০ রানের কাছাকাছি করতে, যেন অন্য দলের সুযোগ না থাকে। আমাদেরও আলোচনা হয়েছে ইংল্যান্ড সবসময় আগ্রাসী থাকবে, তাদের বিপক্ষে ডিফেন্সিভ ক্রিকেট খেলতে হবে।’
স্বাগতিকদের বিপক্ষে মানসিকভাবে শক্ত থাকা জরুরি মনে করছেন মাশরাফি, ‘আমাদের মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে হবে। ইংল্যান্ড অবশ্যই আক্রমণ করবে, আমাদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। ওদের শক্তির জায়গাগুলো নিয়ে না ভেবে আমাদের শক্তি নিয়ে ভাবতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যেন ভুল বারবার না হয়।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে কিছুটা চাপ নিয়েই নামবে ইংল্যান্ড। এই চাপ কি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক? মাশরাফি অবশ্য এমনটা ভাবছেন না, ‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের অন্যতম সেরা দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমি মনে করি না ইংল্যান্ড চাপে থাকবে। তবে আমার বিশ্বাস জিততে হলে ওদের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’