খবর ৭১ঃ টেকনাফের নাফ নদীর কিনারায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের ল্যাদা ক্যাম্পের আজিজুর রহমানের ছেলে হামিদ (২২), উখিয়ার থাইংখালী ক্যাম্প-১৩ এর নুর মহাম্মদের ছেলে সামশুল আলম (৩৪) ও একই ক্যাম্পের মুক্তার আহমেদের ছেলে নুরুল আলম (২৩)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহতরা অপহরণকারী চক্রের সদস্য ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। কিছু দিন আগে অপহরণকারীরা ৩ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে পুলিশের অভিযানে অবস্থা বেগতিক দেখে অপহরণকারীরা ওই শিশুকে ফেরত দেয়। রাতে পুলিশ জানতে পারে যে ওই অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের পাশে পাহাড়ে অবস্থান করছে। এমন সংবাদে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি টিম পাহাড়ে অভিযানে চালালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে। পরে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, রাত ১টায় পুলিশ গুলিবিদ্ধ তিন রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।