খবর৭১ঃসৌদি আরবের ডাকা উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোর সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধের কঠোর বিবৃতির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে কাতার। ইরাকের পর দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে কাতার এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে।-খবর রয়টার্স
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, সম্মেলনের বিবৃতি প্রচলিত কার্যপ্রণালী অনুসারে গৃহীত হয়নি।
আল-জাজিরা টেলিভিশনকে তিনি বলেন, বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তেহরানের সঙ্গে আলোচনার কোনো সংযত নীতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আবদুল রহমান আল থানি বলেন, তারা তেহরানের প্রতি ওয়াশিংটনের নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো বিবেচনার কথা রাখা হয়নি।
আরব আমিরাত উপকূলে চারটি তেল ট্যাংকারে হামলা ও সৌদি তেল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলার পর গত ৩০ মে আরব নেতাদের একটি জরুরি সভা ডেকেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন নাসের আল থানি ওই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে।
২০১৭ সালে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরের অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক অবরোধ করার পর এই প্রথম দেশটির কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা সৌদি সফরে যান।
সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা ও ইরানের প্রতি নমনীয়তার জন্য উপসাগরীয় এই ছোট্ট দেশটির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অবরোধ করে আরব দেশগুলো। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।