মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছে দুটি সেতু। এতে করে যোগযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লোকজনদের। ঈদের আগ মূহুর্তে আকস্মিক অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পাড় ভেঙ্গে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় দক্ষিন পূর্বাঞ্চলের হাজারও মানুষের চরম দূর্ভোগে পরে ঈদ আনন্দে ভাটা পড়েছে।গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তা ও ব্রিজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। হঠাৎ বন্যায় পানি উঠে যাওয়ায় জমিতে বালুর স্তুপ পড়েছে। এতে করে সবজি, আউশ ধান ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোত তেলিয়াপাড়া হরষপুর রাস্তার কৃষ্ণপুর এলাকার একটি সেতু বিধস্ত হয়। এতে মাধবপুরের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ত্রিপরা ছড়ায় খননের শেষ ভাগে কুটানিয়া দিঘিরপাড় এলাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জালুয়াবাদ, নোয়াগাঁও, কৃষ্ণপুর, লোহাইদ গ্রামের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার লোকজন পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাত ৯ টা থেকে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মাধবপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
হবিগঞ্জের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য মহি উদ্দিন কামাল এবং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আপন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে রোববার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মাধবপুর এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার চৌধুরী জানান, পানি নামতে শুরু করেছে। গ্রামীন রাস্তাঘাট ক্ষতি হয়েছে। এ গুলো তালিকা করে আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসনূভা নাশতারান রোববার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে আর্থিক সহায়তা করে পূর্নবাসন করা হবে।