খবর৭১:বাণিজ্য যুদ্ধ সহ একাধিক ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনায় চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেংয়ের বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধ হলে তা গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। একই সঙ্গে, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরে ওয়াশিংটনকে নাক না গলানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি চীনকে অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব লংঘন না করার পরামর্শ দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। নতুন অস্ত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে হুমকিও দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এর জবাবে এবার পাল্টা হুমকি দিলেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তাইওয়ান ইস্যুতে সবসময় চীনের বিপরীত পথে হাঁটে আমেরিকা। কারণ পিছন থেকে তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্য করে থাকে আমেরিকা। গত কয়েকদিন ধরে তাইওয়ান প্রণালীতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে আমেরিকা। আর মার্কিন নৌবাহিনীর এই সিদ্ধান্ত মোটেই ভালো চোখে নেয়নি কমিউনিস্ট চিন। তা এদিনের হুঁশিয়ারিতেই স্পষ্ট বলে মত সামরিক পর্যবেক্ষকদের।
সিঙ্গাপুরে সাংরি-লা বৈঠকে দেশের হয়ে যোগ দেন চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। এই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উই ফেংয়ের বার্তা, তাইওয়ান ও চীনের সম্পর্কে ভাঙন ঘটাতে এলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে বেইজিং। প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে দখল করতেও পিছপা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমেরিকাকে আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, তাইওয়ান এবং চীনের সম্পর্ক যদি কেউ নষ্ট করতে চায় তাহলে অবশ্যই কড়া ব্যবস্থা নেবে চিন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে চীনের সেনাবাহিনীর কাছে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি চীনের।
আর এরপরেই চীন-আমেরিকা যুদ্ধ হলে তার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করেন উই। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনই কাউকে আগে হামলা করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুটি দেশ যদি সংঘাতে যায় বা যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে দুই দেশের সঙ্গে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’