খবর৭১ঃযুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে নতুন নিয়ম করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ম অনুযায়ী মার্কিন ভিসার জন্য আবেদনকারীদের এখন থেকে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ডের তথ্যও জমা দিতে হবে। খবর বিবিসির।
কূটনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করতে বা বেড়াতে যেতে চান, তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য দিতে হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করবেন, তাদের ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং গত পাঁচ বছর ধরে ব্যবহার করছেন এমন ই-মেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বরও জমা দিতে হবে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব সময়ই আমাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গত বছর এই নিয়ম চালুর প্রস্তাব করার সময় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ হিসেব করে দেখেছিল, বছরে এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
বিবিসি বলছে, কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে তাকে অভিবাসন আইনে কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র দফতর।
তবে কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করেন, তাহলে তা উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফরমে।
আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় ‘জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রিত’ এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেই কেবল ভিসার আবেদনে বাড়তি তথ্য দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালের মার্চে ভিসা আবেদনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য দেয়ার এই নতুন নিয়ম প্রস্তাব করে।
মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন সে সময় বলেছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারির এমন নিয়ম যে কার্যকর বা ন্যায্য কিছু হবে- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং এরকম নিয়ম হলে মানুষ অনলাইনে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর স্বআরোপিত নিয়ন্ত্রণ চালাবে।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করে আনা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি কড়া নজরদারির ওপর জোর দিয়ে আসছেন।