পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নতুন গয়না চাই-ই চাই নারীদের

0
537

খবর৭১ঃঈদে অন্য কিছু একটু আলাদা হলেও সমস্যা নেই। তবে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নতুন গয়না চাই-ই চাই নারীদের। কারণ গয়না এবং নারী প্রেম যেন সৃষ্টির শুরু থেকেই। ঈদের সাজগোজের নারীদের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে গয়না। তাই উৎসবে চাই নতুন গয়না।

ঈদের দিন নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরার আগ্রহ বেড়ে যায় শতগুণ। হালকা ও ভারী দুই ধরনের গয়নাই প্রাধান্য পায়। পোশাকের সঙ্গে মানানসই এসব গয়নার ব্যবহার নারীকে যেমন নান্দনিকতায় সাজাচ্ছে, তেমনি সাধারণ সাজের মধ্যে দিচ্ছে অনন্য সৌন্দর্য। হাতে মাত্র তিনদিন।রমজানের শেষ মুহূর্তে তাই এখন রাজশাহীর প্রতিটি অভিজাত মার্কেটে চলেছে গয়নার পরখ।

সোনা, গোল্ড প্লেটেড ও ইমিটেশনের গয়নার দোকানে কিশোরী, তরুণীসহ নানা বয়সী নারীদের ভিড়। আর ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলো ঝলমল করছে নতুন নতুন ডিজাইনের গয়নায়।

সোনার দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সোনালি রং ছাড়াও বিদেশি হোয়াইট গোল্ডের নজরকাড়া ডিজাইনের বাহারি সব গয়না। সৌখিন নারীদের কাছে এখন ডায়মন্ডের গয়নাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা যেন অনেকটা অভিজাত্যের প্রতীক। তাই সোনার গয়নার পাশাপাশি ডায়ামন্ডের গহনার প্রতি এখন তরুণীদের বিশেষ ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া মনকাড়া সব ডিজাইনের মুক্তো ও আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড খচিত গয়না এবং সোনা বা রূপার ওপরে মিনা ও অ্যান্টিক করা গয়নাও এখন ঝলমল করছে রাজশাহী মহানগরের অভিজাত শো-রুমগুলোতে।

গলায় মালা, কানে ঝুমকো, হাতভরা রিনিঝিনি বাহারি চুড়ি, ঐতিহ্যবাহী এসব গয়নার সঙ্গে সৌন্দর্য বাড়াতে ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের এখন পছন্দের তালিকায় বড় নোলক, স্টোন বা পার্ল খচিত ঝাপ্টা আর বড় গুজরাটি আংটি। গোল্ডপ্লেটেড গয়নার দোকানগুলোতে এসব আইটেম বিক্রেতারা তাদের দোকান সাজিয়েছেন আরো কতশত রকমারি নামের ও দামে।

সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে গোল্ডপ্লেটেড গহনার প্রায় ২৭টি দোকান রয়েছে। এসব দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়।

দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ে পা রাখাই মুশকিল। এখানে গোল্ডপ্লেটেড শীতাহার, হাসলি, জরুয়া, বাহুবলী, নোলক, মুকুট, বালা, ঝুমকা, আংটি, ব্রেসলেট ইত্যাদি গয়নায় চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে।

এসব গয়নার মধ্যে লহোরি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০টাকা, হাসলী ৬৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, ঝুমকা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ঝাপ্টা ও টিকলি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

রুবা ইমিটেশন প্যালেসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ এবার ঈদে ব্যবসায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ১০ রমজানের পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। শেষের দু’দিন আরও ভিড় বাড়বে আশা করছেন। এবার ঈদে বাহুবলী সেট, কিরণমালা আংটির চাহিদা বেশি। এছাড়া নোলক ও ঝাপ্টা তরুণীরা বেশি পছন্দ করছেন বলেও জানান তিনি।

রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী অণিকা জাহান গোল্ডপ্লেটেড ঝুমকা ও নোলক কিনছিলেন। তিনি জানালেন, তাদের ঈদের শপিং প্রায় শেষ। শুধু গয়নাটাই বাকি ছিলো। লেহেঙ্গার সঙ্গে মানানসই করে আজ গয়নাও হয়ে গেল।

এদিকে, শেষ মুহূর্তে ঈদকে সামনে রেখে তিলোত্তমা, বিশ্বরঙ, ড্যাস কালেকশনসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ কাঠের পুঁতি, কাচের পুঁতি, বিভিন্ন মেটাল ও বড় বড় রঙিন পাথরের তৈরি ইমিটেশনের গয়না, সিলভার ও গোল্ডেন অ্যান্টিক গয়না ইত্যাদির পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। হরেক দামের ইমিটেশনের গয়নাগুলো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনতেও এখন ভিড় করছেন রুচিশীল তরুণীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here