মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ
সৈয়দপুরে চোরাই পথে নিয়ে আসা বিভিন্ন ব্রান্ডের ভারতীয় শাড়ী কাপড়, শাল,নগদ টাকাসহ প্রায় ২৮ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব-১৩ সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি সাদরা লেন এলাকার বেলাল হোসেনের বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান ওইসব মালামাল উদ্ধার করে।
এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ও উদ্ধার করা ওইসব মালামালের মালিক চোরাকারবারি কামরুলকে (৬২) আটক করা হয়। পরে উদ্ধার করা মালামাল জব্দ করে থানায় হস্তান্তর ও আটক কামরুলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে র্যাব বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছে। মামলার পর আসামী কামরুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে থানা পুলিশ তাঁকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
সুত্র জানায়,পবিত্র ঈদ ও ঈদের পর বিয়ে সাদির মওসুম ধরতে ভারত থেকে চোরাইপথে শাড়ী,কাপড়,শাল চাদরসহ অন্যান্য মালামাল এনে সৈয়দপুরে মজুদ করতো চোরাকারবারী ব্যবসায়ী কামরুল। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব কারবার করতো সে। র্যাব- ১৩ সিপিসি -২ নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পারে। পরে র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর এটিএম নাজমুল হুদার নির্দেশে র্যাবের উপ সহকারি পরিচালক (ডিএডি) মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার সাদরা লেনের বেলালের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া কামরুলের ঘর থেকে ১হাজার ৫৬ পিস বিভিন্ন ব্রান্ডের ভারতীয় শাড়ি কাপড়, ৪৮৮ পিস শাল চাদর, ১০ পিস প্রেসার কুকার, একটি ব্লান্ডার, নগদ ৪৪ হাজার ৯৪০ টাকা,ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় শহরের মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর এলাকার মৃত নিয়াজীর পুত্র চোরাকারবারী কামরুলকে (৬২)। এঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের ডিএডি আব্দুস সালাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
এব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. আরমান আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, । গ্রেফতার হওয়া কামরুলের সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। কামরুলকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।