খবর৭১ঃএকটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া যে কোনো শানি্তচুক্তি প্রত্যাখ্যান করবে তুরস্ক ও জর্ডান।
বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় কোনো ধরণের প্রচষ্টোই দেখছে না তুরস্ক। জার্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদষ্টো জারেড কুশনারের সঙ্গে এদিন বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করতে দেশটিতে যান কুশনার। এদিনই তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর এএফপি ও আনাদোলু এজেন্সির।
মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলা ও ওআইসি’র সমন্বিত প্রচষ্টো অত্যন্ত প্রয়োজন।
এটি এমন একটি দায়িত্ব, যা প্রথমে আমাদের সামরিক বাহিনীর ওপর বর্তায়। জেরুজালেম রক্ষায় ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আবারও অঙ্গীকার করতে হবে।
এর সম্মানহানির ব্যাপারে অন্যদের সাবধান হতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া কোনো শান্তিচুক্তি ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্রগুলো মেনে নেবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জর্ডান জানায়, ইসরাইল- ফিলিস্তিন শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার দেশটি সফর করেন ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার। দেশটির বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
জেরুজালেম বা আল কুদসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আবদুল্লাহ। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া এ অঞ্চলে কোনোভাবে স্থায়ী ও টেকসই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেন, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের আগের সীমানা নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। তিনি জেরুজালেমকে নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জর্ডানের রাজার এ আহ্বান আমেরিকার কাছে নিতান্তই গুরুত্বহীন।
জেরুজালেম শহরে অবস্থিত বায়তুল আকসা মসজিদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন জর্ডানের রাজা।
এদিনের বৈঠকে তিনি কথিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি দুই রাষ্ট্রকেন্দ্রিক সমাধানের ওপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে দু’পক্ষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি নিয়েও আলোচনা করে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কুশনারের। তাদের বৈঠকের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।