খবর৭১ঃ লিটন কুমার দাসের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। উদ্বোধনীতে ৪৯ রান করার পর শূন্য রানের ব্যবধানেসৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই অবস্থা থেকে দলকে উত্তরণ করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে খেলায় ফেরান তারা। দুজনই জোড়া ফিফটি তুলে নেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩১ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান। ৭৩ ও ৫৪ রানে ব্যাট করছেন লিটন ও মুশফিক।
ভালো সূচনার পর টাইগার শিবিরে বুমরার জোড়া আঘাত
ভারতের বিপক্ষে ৩৬০ রানের পাহাড়সম স্কোর তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে ৯.৪ ওভারে ৪৯ রান করেন সৌম্য সরকার। ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়। যশপ্রীত বুমরার জোড়া আঘাতে মাত্র ২ বলে দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই বোল্ড সাকিব আল হাসান। উইকেটে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২৯ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করে ফেরেন সৌম্য।
জিততে হলে রানের পাহাড় ডিঙাতে হবে টাইগারদের
লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনির জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। দলের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান লোকেশ রাহুল (১০৮) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (১১৩)।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতীয় দলকে শুরুতেই চেপে ধরেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় মাত্র ৫ রানেই ভারতীয় উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কাটার মাস্টার।
এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অন্য ওপেনার রোহিত শর্মা। রোহিত ও বিরাট কোহলির মধ্যকার জুটি ভাঙা খুবই প্রয়োজন ছিল। ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে আক্রমণাত্মক হচ্ছিলেন তারা। আর সেই মুহূর্তে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করার মধ্য দিয়ে জুটির বিচ্ছেদ ঘটান রুবেল হোসেন।
জাতীয় দলের তারকা পেসার রুবেল ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই নিজের দ্বিতীয় বলে রোহিতের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে মাত্র ১৯ রান করার সুযোগ পান ভারতের বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ওপেনার রোহিত। দলীয় ৫০ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত।
শুধু ভারতই নয়, বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ভারতের এই অধিনায়ককে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ফিফটির পথেই ছিলেন কোহলি। ৪৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করা কোহলি বিভ্রান্ত হন সাইফউদ্দিনের বলে। কোহলির বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৮৩ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় ভারত।
রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। রুবেলের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বিজয়।
১০২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর ভারতের ইনিংস মেরামত করেন লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। পঞ্চম উইকেটে তারা ১৬৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করা রাহুলকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাব্বির রহমান রুম্মন। তার আগে ৯৯ বলে ১২টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১০৮ রান করেন রাহুল।
ইনিংসের শেষ দিকে সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান হার্দিক পান্ডিয়া। ১১ বলে ২১ রান করা পান্ডিয়াকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিনত করেন সাকিব আল হাসান।
পান্ডিয়া বিদায় নিলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আবু জায়েদ রাহীকে ছক্কা হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ৭৩ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ধোনি। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল আগে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধোনি। তার আগে ৭৮ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১১৩ রান করেন ধোনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৫৯/৭ (ধোনি ১১৩, রাহুল ১০৮, কোহলি ৪৭; সাকিব ২/৫৮, রুবেল, ২/৬২)।